বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ একই পরিবারের ৬ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের বড়পরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত এসএসসি পরীক্ষার্থী মেরিনা আক্তার (১৮), জিহাদ হাওলাদার (১৪), রাজিয়া বেগমকে (৩৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আহত ইমরান হাওলাদার (২৫), মহিবুল্লাহ হাওলাদার (১৯) ও মনোয়ারা বেগমকে (৬০) প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার খাউলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন হাওলাদার বাদী হয়ে সাব্বির মাতুব্বরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের বড়পরি গ্রামের বাচ্চু হাওলাদারের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী মেরিনা আক্তারকে একই গ্রামের প্রতিবেশী জাকির মাতুব্বরের ছেলে সাব্বির মাতুবর কিছুদিন পূর্বে বিবাহের জন্য তার দাদা মোশারেফ হোসেনের নিকট প্রস্তাব দিলে তিনি তাতে রাজি না হয়ে নাতনীকে অন্যত্র বিবাহ দেয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার দুপুর ১টার দিকে সাব্বির মাতুব্বরের নেতৃত্বে ৮/১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল বাচ্চু হাওলাদারের বসতবাড়ি ও তার ভাই মামুন হাওলাদারের বাড়িতে অতর্কীত হামলা চালিয়ে তার বিবাহিত মেয়ের নতুন জামাতা ইমরান হাওলাদারকে এলোপাতারী মারপিট করে। এ সময় তার ডাক চিৎকারে তার স্ত্রী মেরিনা ও তার পরিবারের লোকজন জামাতাকে উদ্ধার করতে আসলে হামলাকারীরা মারধর করে গুরুত্বর জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় হামলা কারিরা মেরিনা আক্তারকে শরীরের বিভিন্ন স্থান ও তার তল পেটে প্রচন্ড আঘাত করায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
বিএনপি নেতা মোশারেফ হাওলাদার বলেন, সাব্বির মাতুব্বর পূর্বে তার স্ত্রী সন্তান থাকা সত্ত্বেও আমার নাতনীকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লোকজন নিয়ে এসে আমাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে দুটি বসতঘরের মালামাল নিয়ে যায়। প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে থানা ওসি মো. রাজিব আল রশিদ বলেন, বড়পরী গ্রামে হামলার ঘটনায় তাৎক্ষনিক নিকটস্ত ফাঁড়ির আইসিকে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে